যুবক-যুবতিদের মাস্ট রিড বই
যুবক-যুবতিদের মাস্ট রিড বই
Better To Best - Shop
All products

যুবক-যুবতিদের মাস্ট রিড বই প্রকাশনী :ইলম হাউজ পাবলিকেশন,উমেদ প্রকাশ,পথিক প্রকাশন,বুকমার্ক পাবলিকেশন কভার : পেপার ব্যাক উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?:কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো!প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের আবেগী ভাষায়, বইয়ের পাতায় তোমাকে রবের দিকে ডাকা হয়, অথচ তুমি জীবনের বিপরীতে মৃত্যুকেই বেছে নাও। আর কতবার, কতভাবে, কত রকম শব্দ দিয়ে বোঝালে তোমার অন্তরের বন্ধ দরজাটা একটু খুলবে?তোমার ভেতরের ক্ষতগুলো কত গভীর হলে, ব্যথাগুলো কতটা ছড়িয়ে গেলে, আর কত দিন যন্ত্রণা পোহালে তোমার এই মৃত্যুর ঘোর ভাঙবে—বলো তো?তারপর বলো, তোমার এই উদ্দেশ্যহীনতা আর কত দিন? অন্তরে এই শূন্যতা নিয়ে আর কত দিন যন্ত্রণা পোহাবে?তোমার একটা উদ্দেশ্য প্রয়োজন, তোমার ইসলাম প্রয়োজন, তোমার ভেতরে পূর্ণতা প্রয়োজন, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন—এজন্যই তোমাকে ফিরতে হবে।উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?আকাশের ওপারে আকাশ:একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি আমরা।সমাজ ও সভ্যতা প্রেমকে মহিমান্বিত করে। প্রেম ছাড়া জীবন রঙহীন, নিষ্প্রাণ। অপূর্ণ। অর্থহীন। জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার চূড়ো হলো প্রেম। বাকি সব সাইডস্টোরি, বাকি সবাই এবং সবকিছু পার্শ্বচরিত্র। আধুনিক মানব ও মানবীরা তাই পথে পথে নেড়েচেড়ে, চেখে দেখে সব নুড়ি পাথর। গভীর এক তৃষ্ণা নিয়ে খুঁজে ফেরে প্রেমের সেই পরশপাথর। আর এই খোঁজকে উপস্থাপন করা হয় মাদকতাময় সৌন্দর্যের সাথে।আবার, সমাজ ও সভ্যতায় আমরা পতনের চিহ্ন দেখতে পাই। আমরা দেখি হতাশার মহামারি, পরিবারের ভাঙন আর গন্তব্যহীন প্রজন্ম। আমরা দেখি, ক্রাশ কনফেশনস এর কেলেঙ্কারির গল্প। আমরা দেখি শরীরের যথেচ্ছ ব্যবহার, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ভাইরাল ভিডিও, বছরে লক্ষ লক্ষ গর্ভপাত আর মাসে গড়ে ৫০টার মতো আত্মহত্যার খবর। দেখি অবক্ষয়, অধঃপতন আর ক্লেদাক্ত কলুষতা।দুটো ছবি প্রায় বিপরীতমুখী। আবার একটা আরেকটার সাথে যুক্ত নিবিড়ভাবে। কিন্তু এই সম্পর্কটা আমরা দেখতে পাই না। আমরা দেখতে চাই না। চোখের সামনে সব চিহ্ন থাকার পরও হিসেব মেলে না আমাদের।কেন এই অদ্ভুত বৈপরীত্য? রহস্যটা কোথায়?প্রেমের অলীক রূপকথার ঐ আকাশের আড়ালে আরো একটা আকাশ আছে। মাটি আর মানুষের, ঘাসফড়িং আর শিশিরের এবং মৌলিক ভালোবাসার। যে আকাশ আধুনিকতার একমাত্রিক চশমায় ধরা দেয় না।শুভ্রতায় মোড়ানো সেই আকাশটাকে নিজের করে নেবার ব্যাকরণ নিয়েই আমাদের এই আয়োজন- আকাশের ওপারে আকাশ।এখন যৌবন যার:স্বাভাবিকভাবেই একজন যুবককে নফস ও শয়তান নানাভাবে পরাস্ত করার চেষ্টা করে। কারণ, জীবনের এই বেলাটায় মানুষের ভেতর যৌন-তাড়না থাকে বেশি। আর একে ব্যবহার করেই যুবককে ঘায়েলের চেষ্টা করা হয়।এ তো হলো সাধারণ হিসাব। কিন্তু আমাদের এ নষ্ট সময় ও পরিবেশে একজন যুবককে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তার বেপর্দা পরিবেশ থেকে শুরু করে কলেজ-ইউনিভার্সিটির সহশিক্ষা, ইন্টারনেটের মতো জরুরি উপকরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা চরম অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্রোতে ভেসে আসা নানারকমের আজাব… সব মিলিয়ে যুবক এখন বিপদে। আগে যে যৌবন ছিল বিপুল সম্ভাবনার আধার, এখন সে যৌবন যেন হাজারো বিপদের আশঙ্কা ।‘এখন যৌবন যার’ বইতে লেখক তুলে ধরেছেন এক আখ্যান, যুবক যাকে আঁকড়ে ধরতে পারবে এই অকুল দরিয়ার অবলম্বন হিসেবে।যুবকদের প্রতি সালাফের উপদেশ:সালাফে সালিহীন যুবকদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। যৌবনের অপার সম্ভাবনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ করে তাঁরা যুবকদের উপদেশ দিতেন, সতর্ক করতেন। সেই উপদেশগুলোও হতো হৃদয়ছোঁয়া।হযরত হাসান বসরী রহ. প্রায়ই বলতেন, ‘যুবক ভাইয়েরা আমার, আখিরাতের ব্যাপারে বিস্মৃত হয়ে যেয়ো না। শুধু আখিরাতই যেন হয় তোমার মূল লক্ষ্যবস্তু। কারণ, আমি অনেককেই দেখেছি, আখিরাতের তালাশে নেমে দুনিয়ায় হারিয়ে গিয়েছে। এরপর আখিরাতকে পেয়েছে অল্পই, কিন্তু দুনিয়া ঠিকই অর্জন করেছে কোঁচড় ভরে। অথচ আজও আমি এমন কাউকে দেখিনি, যে দুনিয়ার তালাশে নেমে আখিরাতে মত্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ, সে তখন দুনিয়াতেই পূর্ণ মগ্ন থাকে।’আবু ইসহাক সাবিঈ রহ. বলেন, ‘হে যুবকেরা, যৌবনকালকে গুরুত্ব দাও। আমার জীবনে এমন রাত খুব কম অতিবাহিত হয়েছে, যে রাতে আমি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করিনি। আমি এক রাকাতে পূর্ণ সূরা বাকারা পড়ে থাকি। রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম— পবিত্র এই চার মাসজুড়ে আমি রোজা রাখি। এ ছাড়া প্রতিমাসে তিন দিন এবং প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারও রোজা রাখি। আমি এগুলো অহংকারবশত বলছি না; বরং আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ বলছি।’আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. বলতেন, ‘হে যুবকের দল, এখন থেকেই কামাই-রুজি শুরু করে দাও। এমন যেন না হয়, এখন বেকার থাকার ফলে বৃদ্ধ বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের হাত পাতা লাগে।চলো পাল্টাই:মন, অন্তর, আত্মা, নফস, রুহ, ক্বলব, mind, soul, psyche … …কী রহস্যে ঘেরা এক জগত, কতই না তার গলিঘুপচি! খান্নাস যখন নাস-কে ওয়াসওয়াসা দেয়, সেটাও দেয় তার ‘সুদুর’-এ, বক্ষে, অন্তরে, মনে। সেই মন ও মনোজগৎকে বোঝার জন্য ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি যথেষ্ট হয়নি। মানুষ গড়ে তুলেছে আলাদা শাস্ত্র –সাইকোলজি। কিন্তু আদৌ কি পাওয়া গেছে সবকিছুর উত্তর? পাওয়া সম্ভব?এই বইটির অধ্যায়গুলো সেই মনকে ঘিরেই আবর্তিত। মনটার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিশুদ্ধি, আবেগ, আসক্তি, অনুভূতি, রস, কষ এবং এর বন্ধু-শত্রুদের নিয়ে তুলে আনা হয়েছে টুকরো টুকরো কিছু ভাবনা। এগুলো কোনো উপসংহার নয়, বরং পাঠকের নিজের ভাবনাগুলোকে এগুলোর সাথে মিথষ্ক্রিয়ায় আনার আহ্বান মাত্র। তাহলে শুরু করা যাক, চলুন!উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?: কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো! প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?:কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো!প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের আবেগী ভাষায়, বইয়ের পাতায় তোমাকে রবের দিকে ডাকা হয়, অথচ তুমি জীবনের বিপরীতে মৃত্যুকেই বেছে নাও। আর কতবার, কতভাবে, কত রকম শব্দ দিয়ে বোঝালে তোমার অন্তরের বন্ধ দরজাটা একটু খুলবে?তোমার ভেতরের ক্ষতগুলো কত গভীর হলে, ব্যথাগুলো কতটা ছড়িয়ে গেলে, আর কত দিন যন্ত্রণা পোহালে তোমার এই মৃত্যুর ঘোর ভাঙবে—বলো তো?তারপর বলো, তোমার এই উদ্দেশ্যহীনতা আর কত দিন? অন্তরে এই শূন্যতা নিয়ে আর কত দিন যন্ত্রণা পোহাবে?তোমার একটা উদ্দেশ্য প্রয়োজন, তোমার ইসলাম প্রয়োজন, তোমার ভেতরে পূর্ণতা প্রয়োজন, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন—এজন্যই তোমাকে ফিরতে হবে।উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?আকাশের ওপারে আকাশ:একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি আমরা।সমাজ ও সভ্যতা প্রেমকে মহিমান্বিত করে। প্রেম ছাড়া জীবন রঙহীন, নিষ্প্রাণ। অপূর্ণ। অর্থহীন। জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার চূড়ো হলো প্রেম। বাকি সব সাইডস্টোরি, বাকি সবাই এবং সবকিছু পার্শ্বচরিত্র। আধুনিক মানব ও মানবীরা তাই পথে পথে নেড়েচেড়ে, চেখে দেখে সব নুড়ি পাথর। গভীর এক তৃষ্ণা নিয়ে খুঁজে ফেরে প্রেমের সেই পরশপাথর। আর এই খোঁজকে উপস্থাপন করা হয় মাদকতাময় সৌন্দর্যের সাথে।আবার, সমাজ ও সভ্যতায় আমরা পতনের চিহ্ন দেখতে পাই। আমরা দেখি হতাশার মহামারি, পরিবারের ভাঙন আর গন্তব্যহীন প্রজন্ম। আমরা দেখি, ক্রাশ কনফেশনস এর কেলেঙ্কারির গল্প। আমরা দেখি শরীরের যথেচ্ছ ব্যবহার, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ভাইরাল ভিডিও, বছরে লক্ষ লক্ষ গর্ভপাত আর মাসে গড়ে ৫০টার মতো আত্মহত্যার খবর। দেখি অবক্ষয়, অধঃপতন আর ক্লেদাক্ত কলুষতা।দুটো ছবি প্রায় বিপরীতমুখী। আবার একটা আরেকটার সাথে যুক্ত নিবিড়ভাবে। কিন্তু এই সম্পর্কটা আমরা দেখতে পাই না। আমরা দেখতে চাই না। চোখের সামনে সব চিহ্ন থাকার পরও হিসেব মেলে না আমাদের।কেন এই অদ্ভুত বৈপরীত্য? রহস্যটা কোথায়?প্রেমের অলীক রূপকথার ঐ আকাশের আড়ালে আরো একটা আকাশ আছে। মাটি আর মানুষের, ঘাসফড়িং আর শিশিরের এবং মৌলিক ভালোবাসার। যে আকাশ আধুনিকতার একমাত্রিক চশমায় ধরা দেয় না।শুভ্রতায় মোড়ানো সেই আকাশটাকে নিজের করে নেবার ব্যাকরণ নিয়েই আমাদের এই আয়োজন- আকাশের ওপারে আকাশ।এখন যৌবন যার:স্বাভাবিকভাবেই একজন যুবককে নফস ও শয়তান নানাভাবে পরাস্ত করার চেষ্টা করে। কারণ, জীবনের এই বেলাটায় মানুষের ভেতর যৌন-তাড়না থাকে বেশি। আর একে ব্যবহার করেই যুবককে ঘায়েলের চেষ্টা করা হয়।এ তো হলো সাধারণ হিসাব। কিন্তু আমাদের এ নষ্ট সময় ও পরিবেশে একজন যুবককে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তার বেপর্দা পরিবেশ থেকে শুরু করে কলেজ-ইউনিভার্সিটির সহশিক্ষা, ইন্টারনেটের মতো জরুরি উপকরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা চরম অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্রোতে ভেসে আসা নানারকমের আজাব… সব মিলিয়ে যুবক এখন বিপদে। আগে যে যৌবন ছিল বিপুল সম্ভাবনার আধার, এখন সে যৌবন যেন হাজারো বিপদের আশঙ্কা ।‘এখন যৌবন যার’ বইতে লেখক তুলে ধরেছেন এক আখ্যান, যুবক যাকে আঁকড়ে ধরতে পারবে এই অকুল দরিয়ার অবলম্বন হিসেবে।যুবকদের প্রতি সালাফের উপদেশ:সালাফে সালিহীন যুবকদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। যৌবনের অপার সম্ভাবনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ করে তাঁরা যুবকদের উপদেশ দিতেন, সতর্ক করতেন। সেই উপদেশগুলোও হতো হৃদয়ছোঁয়া।হযরত হাসান বসরী রহ. প্রায়ই বলতেন, ‘যুবক ভাইয়েরা আমার, আখিরাতের ব্যাপারে বিস্মৃত হয়ে যেয়ো না। শুধু আখিরাতই যেন হয় তোমার মূল লক্ষ্যবস্তু। কারণ, আমি অনেককেই দেখেছি, আখিরাতের তালাশে নেমে দুনিয়ায় হারিয়ে গিয়েছে। এরপর আখিরাতকে পেয়েছে অল্পই, কিন্তু দুনিয়া ঠিকই অর্জন করেছে কোঁচড় ভরে। অথচ আজও আমি এমন কাউকে দেখিনি, যে দুনিয়ার তালাশে নেমে আখিরাতে মত্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ, সে তখন দুনিয়াতেই পূর্ণ মগ্ন থাকে।’আবু ইসহাক সাবিঈ রহ. বলেন, ‘হে যুবকেরা, যৌবনকালকে গুরুত্ব দাও। আমার জীবনে এমন রাত খুব কম অতিবাহিত হয়েছে, যে রাতে আমি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করিনি। আমি এক রাকাতে পূর্ণ সূরা বাকারা পড়ে থাকি। রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম— পবিত্র এই চার মাসজুড়ে আমি রোজা রাখি। এ ছাড়া প্রতিমাসে তিন দিন এবং প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারও রোজা রাখি। আমি এগুলো অহংকারবশত বলছি না; বরং আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ বলছি।’আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. বলতেন, ‘হে যুবকের দল, এখন থেকেই কামাই-রুজি শুরু করে দাও। এমন যেন না হয়, এখন বেকার থাকার ফলে বৃদ্ধ বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের হাত পাতা লাগে।চলো পাল্টাই:মন, অন্তর, আত্মা, নফস, রুহ, ক্বলব, mind, soul, psyche … …কী রহস্যে ঘেরা এক জগত, কতই না তার গলিঘুপচি! খান্নাস যখন নাস-কে ওয়াসওয়াসা দেয়, সেটাও দেয় তার ‘সুদুর’-এ, বক্ষে, অন্তরে, মনে। সেই মন ও মনোজগৎকে বোঝার জন্য ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি যথেষ্ট হয়নি। মানুষ গড়ে তুলেছে আলাদা শাস্ত্র –সাইকোলজি। কিন্তু আদৌ কি পাওয়া গেছে সবকিছুর উত্তর? পাওয়া সম্ভব?এই বইটির অধ্যায়গুলো সেই মনকে ঘিরেই আবর্তিত। মনটার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিশুদ্ধি, আবেগ, আসক্তি, অনুভূতি, রস, কষ এবং এর বন্ধু-শত্রুদের নিয়ে তুলে আনা হয়েছে টুকরো টুকরো কিছু ভাবনা। এগুলো কোনো উপসংহার নয়, বরং পাঠকের নিজের ভাবনাগুলোকে এগুলোর সাথে মিথষ্ক্রিয়ায় আনার আহ্বান মাত্র। তাহলে শুরু করা যাক, চলুন!উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?: কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো! প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের
যুবক-যুবতিদের মাস্ট রিড বই
যুবক-যুবতিদের মাস্ট রিড বই প্রকাশনী :ইলম হাউজ পাবলিকেশন,উমেদ প্রকাশ,পথিক প্রকাশন,বুকমার্ক পাবলিকেশন কভার : পেপার ব্যাক উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?:কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো!প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের আবেগী ভাষায়, বইয়ের পাতায় তোমাকে রবের দিকে ডাকা হয়, অথচ তুমি জীবনের বিপরীতে মৃত্যুকেই বেছে নাও। আর কতবার, কতভাবে, কত রকম শব্দ দিয়ে বোঝালে তোমার অন্তরের বন্ধ দরজাটা একটু খুলবে?তোমার ভেতরের ক্ষতগুলো কত গভীর হলে, ব্যথাগুলো কতটা ছড়িয়ে গেলে, আর কত দিন যন্ত্রণা পোহালে তোমার এই মৃত্যুর ঘোর ভাঙবে—বলো তো?তারপর বলো, তোমার এই উদ্দেশ্যহীনতা আর কত দিন? অন্তরে এই শূন্যতা নিয়ে আর কত দিন যন্ত্রণা পোহাবে?তোমার একটা উদ্দেশ্য প্রয়োজন, তোমার ইসলাম প্রয়োজন, তোমার ভেতরে পূর্ণতা প্রয়োজন, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন—এজন্যই তোমাকে ফিরতে হবে।উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?আকাশের ওপারে আকাশ:একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি আমরা।সমাজ ও সভ্যতা প্রেমকে মহিমান্বিত করে। প্রেম ছাড়া জীবন রঙহীন, নিষ্প্রাণ। অপূর্ণ। অর্থহীন। জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার চূড়ো হলো প্রেম। বাকি সব সাইডস্টোরি, বাকি সবাই এবং সবকিছু পার্শ্বচরিত্র। আধুনিক মানব ও মানবীরা তাই পথে পথে নেড়েচেড়ে, চেখে দেখে সব নুড়ি পাথর। গভীর এক তৃষ্ণা নিয়ে খুঁজে ফেরে প্রেমের সেই পরশপাথর। আর এই খোঁজকে উপস্থাপন করা হয় মাদকতাময় সৌন্দর্যের সাথে।আবার, সমাজ ও সভ্যতায় আমরা পতনের চিহ্ন দেখতে পাই। আমরা দেখি হতাশার মহামারি, পরিবারের ভাঙন আর গন্তব্যহীন প্রজন্ম। আমরা দেখি, ক্রাশ কনফেশনস এর কেলেঙ্কারির গল্প। আমরা দেখি শরীরের যথেচ্ছ ব্যবহার, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ভাইরাল ভিডিও, বছরে লক্ষ লক্ষ গর্ভপাত আর মাসে গড়ে ৫০টার মতো আত্মহত্যার খবর। দেখি অবক্ষয়, অধঃপতন আর ক্লেদাক্ত কলুষতা।দুটো ছবি প্রায় বিপরীতমুখী। আবার একটা আরেকটার সাথে যুক্ত নিবিড়ভাবে। কিন্তু এই সম্পর্কটা আমরা দেখতে পাই না। আমরা দেখতে চাই না। চোখের সামনে সব চিহ্ন থাকার পরও হিসেব মেলে না আমাদের।কেন এই অদ্ভুত বৈপরীত্য? রহস্যটা কোথায়?প্রেমের অলীক রূপকথার ঐ আকাশের আড়ালে আরো একটা আকাশ আছে। মাটি আর মানুষের, ঘাসফড়িং আর শিশিরের এবং মৌলিক ভালোবাসার। যে আকাশ আধুনিকতার একমাত্রিক চশমায় ধরা দেয় না।শুভ্রতায় মোড়ানো সেই আকাশটাকে নিজের করে নেবার ব্যাকরণ নিয়েই আমাদের এই আয়োজন- আকাশের ওপারে আকাশ।এখন যৌবন যার:স্বাভাবিকভাবেই একজন যুবককে নফস ও শয়তান নানাভাবে পরাস্ত করার চেষ্টা করে। কারণ, জীবনের এই বেলাটায় মানুষের ভেতর যৌন-তাড়না থাকে বেশি। আর একে ব্যবহার করেই যুবককে ঘায়েলের চেষ্টা করা হয়।এ তো হলো সাধারণ হিসাব। কিন্তু আমাদের এ নষ্ট সময় ও পরিবেশে একজন যুবককে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তার বেপর্দা পরিবেশ থেকে শুরু করে কলেজ-ইউনিভার্সিটির সহশিক্ষা, ইন্টারনেটের মতো জরুরি উপকরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা চরম অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্রোতে ভেসে আসা নানারকমের আজাব… সব মিলিয়ে যুবক এখন বিপদে। আগে যে যৌবন ছিল বিপুল সম্ভাবনার আধার, এখন সে যৌবন যেন হাজারো বিপদের আশঙ্কা ।‘এখন যৌবন যার’ বইতে লেখক তুলে ধরেছেন এক আখ্যান, যুবক যাকে আঁকড়ে ধরতে পারবে এই অকুল দরিয়ার অবলম্বন হিসেবে।যুবকদের প্রতি সালাফের উপদেশ:সালাফে সালিহীন যুবকদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। যৌবনের অপার সম্ভাবনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ করে তাঁরা যুবকদের উপদেশ দিতেন, সতর্ক করতেন। সেই উপদেশগুলোও হতো হৃদয়ছোঁয়া।হযরত হাসান বসরী রহ. প্রায়ই বলতেন, ‘যুবক ভাইয়েরা আমার, আখিরাতের ব্যাপারে বিস্মৃত হয়ে যেয়ো না। শুধু আখিরাতই যেন হয় তোমার মূল লক্ষ্যবস্তু। কারণ, আমি অনেককেই দেখেছি, আখিরাতের তালাশে নেমে দুনিয়ায় হারিয়ে গিয়েছে। এরপর আখিরাতকে পেয়েছে অল্পই, কিন্তু দুনিয়া ঠিকই অর্জন করেছে কোঁচড় ভরে। অথচ আজও আমি এমন কাউকে দেখিনি, যে দুনিয়ার তালাশে নেমে আখিরাতে মত্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ, সে তখন দুনিয়াতেই পূর্ণ মগ্ন থাকে।’আবু ইসহাক সাবিঈ রহ. বলেন, ‘হে যুবকেরা, যৌবনকালকে গুরুত্ব দাও। আমার জীবনে এমন রাত খুব কম অতিবাহিত হয়েছে, যে রাতে আমি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করিনি। আমি এক রাকাতে পূর্ণ সূরা বাকারা পড়ে থাকি। রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম— পবিত্র এই চার মাসজুড়ে আমি রোজা রাখি। এ ছাড়া প্রতিমাসে তিন দিন এবং প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারও রোজা রাখি। আমি এগুলো অহংকারবশত বলছি না; বরং আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ বলছি।’আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. বলতেন, ‘হে যুবকের দল, এখন থেকেই কামাই-রুজি শুরু করে দাও। এমন যেন না হয়, এখন বেকার থাকার ফলে বৃদ্ধ বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের হাত পাতা লাগে।চলো পাল্টাই:মন, অন্তর, আত্মা, নফস, রুহ, ক্বলব, mind, soul, psyche … …কী রহস্যে ঘেরা এক জগত, কতই না তার গলিঘুপচি! খান্নাস যখন নাস-কে ওয়াসওয়াসা দেয়, সেটাও দেয় তার ‘সুদুর’-এ, বক্ষে, অন্তরে, মনে। সেই মন ও মনোজগৎকে বোঝার জন্য ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি যথেষ্ট হয়নি। মানুষ গড়ে তুলেছে আলাদা শাস্ত্র –সাইকোলজি। কিন্তু আদৌ কি পাওয়া গেছে সবকিছুর উত্তর? পাওয়া সম্ভব?এই বইটির অধ্যায়গুলো সেই মনকে ঘিরেই আবর্তিত। মনটার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিশুদ্ধি, আবেগ, আসক্তি, অনুভূতি, রস, কষ এবং এর বন্ধু-শত্রুদের নিয়ে তুলে আনা হয়েছে টুকরো টুকরো কিছু ভাবনা। এগুলো কোনো উপসংহার নয়, বরং পাঠকের নিজের ভাবনাগুলোকে এগুলোর সাথে মিথষ্ক্রিয়ায় আনার আহ্বান মাত্র। তাহলে শুরু করা যাক, চলুন!উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?: কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো! প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?:কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো!প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের আবেগী ভাষায়, বইয়ের পাতায় তোমাকে রবের দিকে ডাকা হয়, অথচ তুমি জীবনের বিপরীতে মৃত্যুকেই বেছে নাও। আর কতবার, কতভাবে, কত রকম শব্দ দিয়ে বোঝালে তোমার অন্তরের বন্ধ দরজাটা একটু খুলবে?তোমার ভেতরের ক্ষতগুলো কত গভীর হলে, ব্যথাগুলো কতটা ছড়িয়ে গেলে, আর কত দিন যন্ত্রণা পোহালে তোমার এই মৃত্যুর ঘোর ভাঙবে—বলো তো?তারপর বলো, তোমার এই উদ্দেশ্যহীনতা আর কত দিন? অন্তরে এই শূন্যতা নিয়ে আর কত দিন যন্ত্রণা পোহাবে?তোমার একটা উদ্দেশ্য প্রয়োজন, তোমার ইসলাম প্রয়োজন, তোমার ভেতরে পূর্ণতা প্রয়োজন, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন—এজন্যই তোমাকে ফিরতে হবে।উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?আকাশের ওপারে আকাশ:একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি আমরা।সমাজ ও সভ্যতা প্রেমকে মহিমান্বিত করে। প্রেম ছাড়া জীবন রঙহীন, নিষ্প্রাণ। অপূর্ণ। অর্থহীন। জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার চূড়ো হলো প্রেম। বাকি সব সাইডস্টোরি, বাকি সবাই এবং সবকিছু পার্শ্বচরিত্র। আধুনিক মানব ও মানবীরা তাই পথে পথে নেড়েচেড়ে, চেখে দেখে সব নুড়ি পাথর। গভীর এক তৃষ্ণা নিয়ে খুঁজে ফেরে প্রেমের সেই পরশপাথর। আর এই খোঁজকে উপস্থাপন করা হয় মাদকতাময় সৌন্দর্যের সাথে।আবার, সমাজ ও সভ্যতায় আমরা পতনের চিহ্ন দেখতে পাই। আমরা দেখি হতাশার মহামারি, পরিবারের ভাঙন আর গন্তব্যহীন প্রজন্ম। আমরা দেখি, ক্রাশ কনফেশনস এর কেলেঙ্কারির গল্প। আমরা দেখি শরীরের যথেচ্ছ ব্যবহার, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, ভাইরাল ভিডিও, বছরে লক্ষ লক্ষ গর্ভপাত আর মাসে গড়ে ৫০টার মতো আত্মহত্যার খবর। দেখি অবক্ষয়, অধঃপতন আর ক্লেদাক্ত কলুষতা।দুটো ছবি প্রায় বিপরীতমুখী। আবার একটা আরেকটার সাথে যুক্ত নিবিড়ভাবে। কিন্তু এই সম্পর্কটা আমরা দেখতে পাই না। আমরা দেখতে চাই না। চোখের সামনে সব চিহ্ন থাকার পরও হিসেব মেলে না আমাদের।কেন এই অদ্ভুত বৈপরীত্য? রহস্যটা কোথায়?প্রেমের অলীক রূপকথার ঐ আকাশের আড়ালে আরো একটা আকাশ আছে। মাটি আর মানুষের, ঘাসফড়িং আর শিশিরের এবং মৌলিক ভালোবাসার। যে আকাশ আধুনিকতার একমাত্রিক চশমায় ধরা দেয় না।শুভ্রতায় মোড়ানো সেই আকাশটাকে নিজের করে নেবার ব্যাকরণ নিয়েই আমাদের এই আয়োজন- আকাশের ওপারে আকাশ।এখন যৌবন যার:স্বাভাবিকভাবেই একজন যুবককে নফস ও শয়তান নানাভাবে পরাস্ত করার চেষ্টা করে। কারণ, জীবনের এই বেলাটায় মানুষের ভেতর যৌন-তাড়না থাকে বেশি। আর একে ব্যবহার করেই যুবককে ঘায়েলের চেষ্টা করা হয়।এ তো হলো সাধারণ হিসাব। কিন্তু আমাদের এ নষ্ট সময় ও পরিবেশে একজন যুবককে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তার বেপর্দা পরিবেশ থেকে শুরু করে কলেজ-ইউনিভার্সিটির সহশিক্ষা, ইন্টারনেটের মতো জরুরি উপকরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা চরম অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্রোতে ভেসে আসা নানারকমের আজাব… সব মিলিয়ে যুবক এখন বিপদে। আগে যে যৌবন ছিল বিপুল সম্ভাবনার আধার, এখন সে যৌবন যেন হাজারো বিপদের আশঙ্কা ।‘এখন যৌবন যার’ বইতে লেখক তুলে ধরেছেন এক আখ্যান, যুবক যাকে আঁকড়ে ধরতে পারবে এই অকুল দরিয়ার অবলম্বন হিসেবে।যুবকদের প্রতি সালাফের উপদেশ:সালাফে সালিহীন যুবকদের প্রতি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। যৌবনের অপার সম্ভাবনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায়, সেদিকে লক্ষ করে তাঁরা যুবকদের উপদেশ দিতেন, সতর্ক করতেন। সেই উপদেশগুলোও হতো হৃদয়ছোঁয়া।হযরত হাসান বসরী রহ. প্রায়ই বলতেন, ‘যুবক ভাইয়েরা আমার, আখিরাতের ব্যাপারে বিস্মৃত হয়ে যেয়ো না। শুধু আখিরাতই যেন হয় তোমার মূল লক্ষ্যবস্তু। কারণ, আমি অনেককেই দেখেছি, আখিরাতের তালাশে নেমে দুনিয়ায় হারিয়ে গিয়েছে। এরপর আখিরাতকে পেয়েছে অল্পই, কিন্তু দুনিয়া ঠিকই অর্জন করেছে কোঁচড় ভরে। অথচ আজও আমি এমন কাউকে দেখিনি, যে দুনিয়ার তালাশে নেমে আখিরাতে মত্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ, সে তখন দুনিয়াতেই পূর্ণ মগ্ন থাকে।’আবু ইসহাক সাবিঈ রহ. বলেন, ‘হে যুবকেরা, যৌবনকালকে গুরুত্ব দাও। আমার জীবনে এমন রাত খুব কম অতিবাহিত হয়েছে, যে রাতে আমি এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করিনি। আমি এক রাকাতে পূর্ণ সূরা বাকারা পড়ে থাকি। রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম— পবিত্র এই চার মাসজুড়ে আমি রোজা রাখি। এ ছাড়া প্রতিমাসে তিন দিন এবং প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবারও রোজা রাখি। আমি এগুলো অহংকারবশত বলছি না; বরং আল্লাহ তাআলার নিয়ামতের শুকরিয়াস্বরূপ বলছি।’আইয়ুব সাখতিয়ানী রহ. বলতেন, ‘হে যুবকের দল, এখন থেকেই কামাই-রুজি শুরু করে দাও। এমন যেন না হয়, এখন বেকার থাকার ফলে বৃদ্ধ বয়সে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্যের হাত পাতা লাগে।চলো পাল্টাই:মন, অন্তর, আত্মা, নফস, রুহ, ক্বলব, mind, soul, psyche … …কী রহস্যে ঘেরা এক জগত, কতই না তার গলিঘুপচি! খান্নাস যখন নাস-কে ওয়াসওয়াসা দেয়, সেটাও দেয় তার ‘সুদুর’-এ, বক্ষে, অন্তরে, মনে। সেই মন ও মনোজগৎকে বোঝার জন্য ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি যথেষ্ট হয়নি। মানুষ গড়ে তুলেছে আলাদা শাস্ত্র –সাইকোলজি। কিন্তু আদৌ কি পাওয়া গেছে সবকিছুর উত্তর? পাওয়া সম্ভব?এই বইটির অধ্যায়গুলো সেই মনকে ঘিরেই আবর্তিত। মনটার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, পরিশুদ্ধি, আবেগ, আসক্তি, অনুভূতি, রস, কষ এবং এর বন্ধু-শত্রুদের নিয়ে তুলে আনা হয়েছে টুকরো টুকরো কিছু ভাবনা। এগুলো কোনো উপসংহার নয়, বরং পাঠকের নিজের ভাবনাগুলোকে এগুলোর সাথে মিথষ্ক্রিয়ায় আনার আহ্বান মাত্র। তাহলে শুরু করা যাক, চলুন!উদ্দেশ্যহীন আর কত দিন?: কখনো কি ভেবেছ, তুমি কে? তুমি কী? আর তুমি কেন? যদি না ভেবে থাকো, তবে নিজেকে কেন ভুলে গিয়েছ, তা নিয়ে অন্তত একটু ভাবো! প্রতিনিয়ত আজানের সুরে, বক্তব্যের
Hello! 👋🏼 What can we do for you?
00:15